এম.এ আজিজ রাসেল: কক্সবাজারে ২ শ’কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর উপর নির্মিত হয়েছে কক্সবাজার—খুরুশকুল সংযোগ সেতু। ইতোমধ্যে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষে এটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন কাজের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঁইয়া জানান, চরপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, নাজিরটেকের বাসিন্দাদের জন্য বিমানবন্দর প্রকল্পের আওতায় খুরুশকুলে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। সেখানে যাতায়াতের জন্য বাঁকখালী নদীর উপর একটি সেতু ও ৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এলজিআরডি সূত্র জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এ জন্য পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারকে খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীসহ খুরুশকুল বাসীর চলাচলের সুবিধার্থে কস্তুরাঘাটস্থ বিআইডাব্লিউ ভবনের পশ্চিমপাশে নির্মিত হবে খুরুশকুল সেতু। আর সেতুটি দেশীয় নকশায় তৈরি হচ্ছে। এত দীর্ঘ সেতু এর আগে কখনো দেশীয় নকশায় তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
সেতুটির সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আপাতত ২৩০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার এলজিআরডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এটি লং প্রিস্টেইট বক্স গার্বার সেতু। এটাই সর্বপ্রথম সর্ববৃহৎ সংযোগ সেতু যেটির নকশা করেছেন এলজিআরডি। এটি বুয়েট দ্বারা রেটিং করা হয়েছে। ৫৯৫ মিটার সেতুর দুপ্রান্তে ৫০ মিটারের ৮ টি স্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে। মাঝখানে ৬৫ মিটারের ৩ টি স্ট্যান্ড নির্মিত হবে। এপ্রোচ সড়ক নির্মিত হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ মিটার।
গত সোমবার ব্রিজ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
আরও পড়ুন: আরও বিদ্যুৎ রফতানি করতে চায় আদানি
তিনি বাঁকখালী নদী ও শহরের অপরূপ পরিবেশ দেখে অভিভূত হন। এসময় তিনি কাজের অগ্রগতি যাচাই করেন। বাকি কাজ শেষ করে দ্রুত নির্দেশনা দেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই ব্রিজ দুই পাড়ের মানুষকে আরও কাছে আনবে। আমূল পরিবর্তন আনবে অর্থনীতির। এতে প্রসার হবে ব্যবসা—বাণিজ্যের। আধুনিকতার ছোঁয়া আসবে খুরুশকুলে।
এছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, নবনির্বাচিত মেয়র মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. ইউনুছ ভূঁইয়া।
সান নিউজ/এইচএন