ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য

তেল-চিনিতে অস্বস্তি, কমছে মাছের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : হুটহাট নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাকাল মানুষ। অসহনীয় দ্রব্যমূল্যে বাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা। এ সময় কিছু পণ্যের দাম কমলেও তা এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। তেল-চিনি ছাড়াও বাজারে আরও ৫ ধরনের পণ্যের দাম ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়।

আরও পড়ুন : তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেমি ওপরে

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর মাছ ও সবজির দাম কিছুটা কমলেও কাঁচা মরিচ, আদা, পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, ভোজ্য তেল ও চিনি- এ ৭ টি নিত্যপণ্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী।

এসব পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে আসছে না। প্রতিদিন বাজারে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছেন নিম্নবিত্তরা। পকেটের টাকায় তারা কিনতে পারছেন না প্রয়োজনের সব পণ্য।

আরও পড়ুন : ভিসানীতি কোনো দলকে টার্গেট করে হয়নি

গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা ও পাম তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর ঘোষণা আসে। পরের দিন বুধবার (১২ জুলাই) তা থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

কিন্তু বাজারে এখনো ভোজ্য তেলের দাম কমেনি। ক্রেতাদের আগের দামেই তেল কিনতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : সার্কের মহাসচিব গোলাম সারওয়ার

এ বিষয়ে মালিবাগ বাজারে নোয়াখালী স্টোরের স্বত্বাধিকারী ফরিদ হোসেন জানান, বাজারে এখনো নতুন দামের তেল আসেনি। কোম্পানি আরো কদিন পরে সেগুলো বাজারে ছাড়বে। এখনো পুরোনো তেল বিক্রি করছি। তাই আগের দাম রাখতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, কোম্পানি দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীরা সাথে সাথে তা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা কার্যকর হতে অনেক সময় লেগে যায়।

আরও পড়ুন : ইউক্রেনে পৌঁছেছে মার্কিন বোমা

ভোজ্য তেলের নতুন দাম কার্যকর হতেও এক থেকে দেড় সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমানোর পর লিটার প্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৯ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু তা আগের দাম ১৮৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন : দেশজুড়ে বাড়তে পারে বৃষ্টি

তারা বলেন, খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৫ টাকা কমেছে। এই তেল ১৫৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা দরে। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৭৩ টাকা। দাম না কমায় তা বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯১০ টাকায়।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম আরও বেড়ে এখন ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আবার ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৯

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেল-চিনি ছাড়াও বাজারে আরও ৫ ধরনের পণ্যের দাম ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ ২৬০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একপোয়া বা ২৫০ গ্রাম কিনলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা।

এদিকে গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে আদার দাম ৩০০ টাকা কেজির নিচে নামছে না। পর্যাপ্ত আমদানির পরও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে।

আরও পড়ুন : হিমাচলে আটকা পড়েছে ১০ হাজার পর্যটক

ঈদের পর বাজারে আলুর দামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকলেও মৌসুমের শুরুতে বাজারে আলুর দামের অস্থিতিশীলতাকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।

মাত্র কদিনের ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে আলু কেজি প্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। গত রোজার ঈদের পর থেকে বাজারে টমেটোর দামও ২০০ টাকা কেজির নিচে নামেনি। এখন বিভিন্ন বাজারে পণ্যটি কেজি প্রতি ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন : দেশে ফিরেছেন ৫৩৩৬৮ জন হাজী

মালিবাগ বাজারে ইলেকট্রনিক্স শোরুমের কর্মকর্তা শোভন ইসলাম বলেন, বিশেষ করে কয়েকটি পণ্যের দাম একদমই নাগালের বাইরে চলে গেছে। এতো দামের পণ্য কিনে সংসার চালানোই কঠিন। এভাবে তো কেউ অভ্যস্ত নয়। নিত্যপণ্যের চড়া দামে মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে।

তিনি জানান, অনেক দিন ধরেই আদা ও পেঁয়াজের দাম বেশি। দীর্ঘ সময়েও দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। প্রায় হাজার টাকা ছুঁয়ে আসা কাঁচা মরিচের দাম এখনো ৩০০ টাকা কেজি। এটি নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য কষ্টকর।

আরও পড়ুন : উখিয়ায় সংরক্ষিত বনভূমিতে চারা রোপণ

শোভন ইসলামের কথায়, এখন বাজারে এসে ভালো খাবার ছেড়ে সস্তা খাবার খুঁজতে হয়। কখন কোন জিনিসটার দাম হুট করে বেড়ে যায়, সেই টেনশনে থাকতে হয়। কেবল চড়া দামের কারণেই আমিষ, প্রোটিন, ভিটামিন জাতীয় খাবার তালিকা থেকে ছাঁটাই করতে হচ্ছে।

বিলাসী পণ্য তো দূরে থাক, নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই এখন কিনতে পারছেন না অনেকে। আবার কোনো কোনো পণ্য এতো প্রয়োজনীয়, যা না হলেও চলে না।

তবে বাজারে সবজি ও মাছের দাম কিছুটা কমেছে।

আরও পড়ুন : নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন শেখ হাসিনা

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মের সবজিগুলো ৫০-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর বিভিন্ন জাতের মাছের দাম কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা কমেছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার ওপরেই আটকে আছে। বাজারে ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। আবার সোনালি মুরগির কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঈদের পরে পর্যটন কেন্দ্রের হালহাকিকাত

বিনোদন প্রতিবেদক: রমজান মাসে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রায় সুনসান নীরব...

বিমসটেক সম্মেলনের পথে প্রধান উপদেষ্টা

সান ডেস্ক: এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ...

সমাজে এখনও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল এ...

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসে...

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা