নিজস্ব প্রতিনিধি: ধীরে ধীরে জমে উঠছে রাজধানীসহ সারাদেশের কুরবানির পশুর হাট। তবে, ক্রেতা সমাগম থাকলেও দর-দাম যাচাই করেই সময় পার করছেন ক্রেতারা। তুলানমূলক বিক্রি কমই। পশুর দাম কিছুটা বেশি বলেই জানাচ্ছেন ক্রেতা-সাধারণ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে ঈদের ছুটি ৫ দিন
এবার মাঝারি সাইজ অর্থাৎ এক থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি বলে জানাচ্ছেন ব্যাপারীরা। ক্রেতারা কেউ কেউ বলছেন, যেহেতু হাতে সময় আছে, অবস্থা দেখে ও বুঝে আরও পরে পশু কিনবেন।
রাজধানীর প্রধান ও স্থায়ী ঐতিহাসিক গাবতলী পশুর হাটে বড় গরুর পাশাপাশি বড় আকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিষও দেখা গেছে। ব্যাপারীরা বলছেন, খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে গরু-মহিষ কেনা হয়েছে। গরুর খাবারের দামও বেশি। এসব কারণে গরুর দাম বেশি পড়ছে। গাবতলী গরুর হাটের
আরও পড়ুন: কমলাপুরে নেই ভোগান্তির অভিযোগ!
সায়েদাবাদ হাটে ঘুরে দেখা যায়, আনুমানিক ৪ মন ওজনের একটি গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।স্থানীয় ব্যবসায়ী গাজী জালাল উদ্দিন বলেন, মন অনুযায়ী বিক্রি করলেও ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে যে দাম চাওয়া হচ্ছে সেই হিসাবে প্রতি মন মাংস পড়বে ৪০ হাজারের বেশি।
কমলাপুর ও মেরাদিয়া পশুর হাটও জমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই অস্থায়ী এ দুটি হাটে পশুর ট্রাক এসে ভিড়ছে। এ দুই হাটে খামারের গরু বেশি এসেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এছাড়াও রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলা ও যাত্রাবাড়ীসহ অন্যান্য পশুর হাটও জমে উঠেছে , তবে দাম বেশি হওয়ার কারণে এখনো বিক্রি ধীর গতি। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। সোম-মঙ্গলবার থেকেই দেদার পশু বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছেন পশু বিক্রেতা ও ইজারাদাররা।
আরও পড়ুন: জাল নোটের ডিলারসহ গ্রেফতার ৯
অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ বছর চাহিদার চেয়েও বেশি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। দাম-দর ঠিক থাকবে। এ বছর কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত আছে ১ কোটি ২৫ লাখের বেশি। কিন্তু সম্ভাব্য চাহিদা হবে প্রায় ১ কোটি। সব মিলিয়ে কুরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে ২৫ লাখের মতো।
সান নিউজ/আর