নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তেলের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিনির শুল্ক ছাড় আগামী ৩১ মে শেষ হবে। চিনির শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখতেও চিঠি দেওয়া হবে। তারা যদি শুল্ক ছাড় অব্যাহত রাখে তাহলে বাজারে তেল ও চিনির দাম কমতে পারে।
আরও পড়ুন : লোডশেডিং স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির দাম বেড়েছে। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর গত এপ্রিল মাস থেকে শুল্ক ছাড় অব্যাহত না রাখায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারণে নয়।
আরও পড়ুন : রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি এসব পণ্য আমদানি নির্ভর। গত কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করে দেশে বিক্রি করতে হয় সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করতে হয়। আমরা চেষ্টা করি আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য ঠিক রাখার।
তারপরও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ জন্য আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
আরও পড়ুন : রফতানি বেড়েছে ইউরোপে
মন্ত্রী আরও বলেন, নিম্নআয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিমাসে এক কোটি পরিবারকে একবার করে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবি এসব পণ্য ক্রয় করে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে থাকে। দাম বাড়লে টিসিবিকেও অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে হয়। এ জন্য সরকার বিশাল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য শেখ হাসিনা যেভাবে চিন্তা করেন তা বিশ্বে বিরল। আগামী বাজেটেও এক কোটি গরিব, দুঃস্থ অসহায় মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্য পণ্য বিতরণ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : রাখাইনের সিত্তে আঘাত হানবে ‘মোখা’
ডিজিটাল কার্ড কবে নাগাদ চালু করা হবেএমন প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। যার সুফল দেশের মানুষ উপভোগ করছে। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চিত করতে টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ জন্য আমরা সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছে। ত্রুটিমুক্ত একটি স্মার্ট কার্ড উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য একটু সময় বেশি লাগছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ কাজ অনেকটাই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে রেড অ্যালার্ট
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আরও উপস্থিত ছিলেন- টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সান নিউজ/এনজে