নিজস্ব প্রতনিধি: রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে তীব্র তাপদাহ। তীব্র এ গরম থেকে বাঁচতে এসি কিনতে দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। এসির পাশাপাশি বেড়েছে এয়ার-কুলার, চার্জিং ফ্যানের চাহিদাও। চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দামও।
আরও পড়ুন: এবার ৪৩ ডিগ্রিতে পুড়ছে ঈশ্বরদী
চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় ক্রেতার চাপ সামাল দিতে দোকানদাররা দোকানের বাইরের গেট বন্ধ করে রাখছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পরিচিত ব্যক্তি কিংবা কাস্টমার এলেই তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
রাজধানীর পল্টন এবং বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন মার্কেটে দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বেশিরভাগ দোকানের বাইরের গেট বন্ধ রয়েছে। যেগুলো খোলা রয়েছে সেগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়।
আরও পড়ুন: তাপ প্রবাহে হিট স্ট্রোক ও করণীয়
নাম না প্রকাশ শর্তে এক দোকানের কর্মকর্তা বলেন, কাস্টমারের চাহিদা মেটাতে না পেরে গেট বন্ধ করে দিয়েছি। দোকানে এসিই নেই। কাস্টমাররা এসে এসি আছে কি না, দাম কত জিজ্ঞেস করছে।
বাংলাদেশের বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি। তিন-চারদিন আগে ওয়ালটনের এক টনের নন-ইনভার্টার এসির দাম ছিল ৪১ হাজার ৯০০ টাকা। সেই এসি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকায়। ইনভার্টার ১ টনের এসি বিক্রি হয়েছিল ৬২ হাজার ৯০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকায়। দেড় টন ৭২ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
এভাবে গ্রি, ট্রান্সটেক, মিনিস্টার, যমুনা, ভিশন, স্যামসাং, ওয়ার্লপুল, হিটাচিসহ সকল ব্র্যান্ডের এসির দাম পূর্বের তুলনায় বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও বিক্রেতারা বলেন, গত এক মাসে যা বিক্রি করেছি, গত দুই দিনে তার চেয়ে বেশি বিক্রি করেছি এসি ও এয়ার কুলার।
সান নিউজ/আর