মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং ইউনিয়নে পুড়াপাড়া গ্রামে চাষ হচ্ছে বিদেশি উন্নত মানের জারবেরা ফুল। ওই এলাকার হিরু মিয়া বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে করছেন এ ফুল চাষ। তার এই ফুল বিক্রি হচ্ছে ঢাকার শাহাবাগসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। হিরু মিয়া দীর্ঘদিন জাপানে প্রবাস জীবন যাপন করেন।
আরও পড়ুন: দূষণের দায়ে ২ কারখানা বন্ধ
পরে, দেশে ফিরে শুরু করেন ফুলের চাষ। এ চাষ করেই ২০ বছর যাবৎ জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। নিজে সার্বিক তত্বাবধানে থেকে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে জমিতে ফুল উৎপাদন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হিরু মিয়ার জমিতে ফুটে আছে বিভিন্ন রংঙের জারবেরা ফুল। একই জমিতে ফুটেছে লাল, হলুদ আর সাদা জারবেড়া ফুল। বিশ্বব্যাপী কাটফুল হিসাবে পরিচিত পাওয়া জারবেরা ফুলটি ইতিমধ্যে বাঙালির মনও জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নতুন চারা রোপনের ৬০ দিনের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে জারবেরা গাছে। সবুজ গাছের মধ্যে নানা রঙের বাহারী ফুল ফুটে। দীর্ঘ ২০ বছর ফুল চাষ করে হিরু মিয়ে এলাকায় খ্যাতি পেয়েছেন ফুল মিয়া নামে। এই জারবেরা ফুলের আদি বাসস্থান জার্মানী হলেও ফুলটি চিনে ব্যাপকভাবে চাষ হয়ে থাকে।
পৃথিবীতে ৪০ প্রকার জারবেরা ফুল রয়েছে। এছাড়া ফুলটি বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিউট বারি জারবেরা-১ ও বারি জারবেরা-২ নামের দুইটি জাত ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছেন।
জারবেরা ফুল বীজ থেকে উৎপন্ন হয়না এটি কান্ড হতে উৎপন্ন হয়ে থাকে। অধিক চারার জন্য টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করা হয়। গাছ থেকে তোলার পরেও ফুলগুলো ৮-১০দিন সজিব থাকে। একটি গাছে পর্যায়ক্রমে ২০/২৫টি জারবেরা ফুল হয়ে থাকে।
এ ফুলের বাংলাদেশেও ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন হিরু মিয়া। পাশাপাশি তার এই ফুল চাষ এলাকায় নিয়ে এসেছে বাড়তি সৌন্দর্য । তবে কাগজের ফুলের কারনে দিন দিন প্রকৃতির ফুলের চাহিদা কমছে, সেই সাথে কমছে প্রকৃতির ফুলের দামও বলে জানান হিরু মিয়া।
আরও পড়ুন: দূষণের দায়ে ২ কারখানা বন্ধ
তিনি আরো বলেন, জাপান হতে আসার পর প্রায় ২০ বছর হয় আমি ফুল চাষ করি। তবে বিশেষ করে এ বছর ফুলের দামও কম চাহিদাও কাম । কাগজের ফুল বের হয়ে গেছেতো এজন্য ফুলের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় কম।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, ফুল চাষে এ জেলায় কৃষি অফিস অর্থিক সহয়তা দেয়না। যখন ফুলগাছে কোন রোগবালাই হয়। আমাদের কাছে চাষিরা আসলে, তাদের আমরা পরামর্শ দেই। এছাড়া অঞ্চলে তেমন বানিজ্যিক ফুল চাষ হয়না। অনেকে শখে চাষ করে থাকে।
সান নিউজ/এনকে