সান নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় তেলের দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
এর অন্যতম কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির তথ্য ও শোধনাগার রক্ষণাবেক্ষণজনিত বিষয়। এশিয়ায়ও একই ধরনের সমস্য রয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক নয় শতাংশ কমে ৮৫ দশমিক ৬৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সেশনে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দুই শতাংশ বাড়ে।
এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডেয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক নয় শতাংশ কমে ৭৮ দশমকি ৯৯ ডলারে দাঁড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, এতে রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার আরও বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজার
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়িয়েই যাচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও তেলের চাহিদা ধীর হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যালেকজান্ডার নোভাক জানিয়েছেন, মার্চে দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করা হবে। সম্প্রতি রুশ তেল ও এ সম্পর্কিত পণ্যের ওপর পশ্চিমারা মূল্যসীমা বেঁধে দেয়। এরপরই তেলের দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। প্রায় এগারো মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে