নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বব্যাংকের ২০ দশমিক ২ কোটি ডলার ঋণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্মিত হচ্ছে আটটি আধুনিক খাদ্যগুদাম। বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পটি ৪৫ লাখ মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করবে।
‘দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা, বীজ, শস্য সংরক্ষণ এবং গুণগতমান ও পুষ্টিমান বজায় রাখতে আটটি আধুনিক খাদ্যগুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখ হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ করা হবে। এটি তাই হবে পারিবারিক পর্যায়ে সাইলো বিতরণ প্রকল্পও। প্রতি পরিবারকে ১০০ কেজি চাল সংরক্ষণে ফুডগ্রেড প্লাস্টিক কনটেইনার দেওয়া হবে। প্রতিটি হাউজহোল্ডার সাইলোর দাম ৩০ ডলার। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে প্রকল্পটির মোট ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৭৩৭ কোটি দুই লাখ টাকা।
রোববার (২ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত কারণে শস্য মজুদের পরিমাণ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। এ অর্থ দিয়ে বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, আশুগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মহেশ্বরপাশা, চট্টগ্রাম ও মধুপুরে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আটটি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯১৯ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর বেশিরভাগ টাকাই দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, প্রকল্পটি বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, যেমন ঘন ঘন জলবায়ু বিপর্যয় বা বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারির মতো সংকট থেকে মুক্তি দেবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে খাদ্য চাহিদা পূরণে জন্য শস্য সংরক্ষণাগার বড় করা হবে। একটি অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেমের (এফএসএমএমএস) মাধ্যমে শস্য সংগ্রহের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী গ্রামীণ অঞ্চলে বাস করে। জলবায়ুর ঝুঁকি এসব মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাদ্য সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আধুনিক সাইলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। বর্তমানে করোনা মহামারির মতো সংকটের সময় খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
২০১৪ সালে একনেকে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। গত জুনে এ খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাড়ে চার বছরেও স্টিলের সাইলোর নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়নি। কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৯ শতাংশ।
সান নিউজ/সালি/ এআর