সান নিউজ ডেস্ক: আবারও সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ কর দিয়ে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী মো. কাউছ মিয়া।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে স্কুলবাস, নিহত ১৫
হাজী মো. কাউছ মিয়া ২০২১-২২ করবর্ষে ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ ক্যাটাগরিতে এই ব্যবসায়ী সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। তবে আগের কয়েক বছর তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
চলতি বছর সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে মো. কাউছ মিয়ার পাশাপাশি খাজা তাজমহল, ফজলুর রহমান, এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসানকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ অধিশাখা-২ (কর) এর সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
এমনকি গত বছর মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাঁকে এই সম্মাননা দিয়েছিল।
কাউছ মিয়া ৬১ বছর ধরে কর দিয়ে আসছেন। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দেন তিনি। কেন কর দেওয়া শুরু করলেন, এর ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের সময় শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে কাউছ মিয়া ১৪ বার সেরা করদাতা হিসেবে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা) ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কাউছ মিয়া। বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরান বাজারে মুদি দোকান দেন।
আরও পড়ুন: হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো
পরে ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট ছিলেন। এরপর ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন। ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি।তামাক বেচাকেনা হচ্ছে তার মূল ব্যবসা।
সান নিউজ/এনকে/এমএ