নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) পরিচালিত জোড়াগেট পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচা-কেনা। বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে পশু, পুরোদমে জমে উঠেছে হাট ।
গত ২৬ জুলাই জোড়াগেট পশুর হাটের উদ্বোধন হলেও হাটে কেনা-বেচা শুরু হয় পরদিন ২৭ জুলাই। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত হাটে পশুর পাশাপাশি ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল কম। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক পশু আসতে শুরু করে। খুলনার আশেপাশের স্থানীয় পশুর হাটগুলো শেষ হওয়ায় শুক্রবার (৩১ জুলাই) থেকে খুলনার সবচেয়ে বড় এই হাটে পশুর সংখ্যা বাড়ছে এবং চলছে পুরোদমে কেনা-বেচা। ঈদ-উল আযহার আগের চাঁনরাতে ক্রেতারা ভিড় জমিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের পশু।
গরুর হাটে দেখা যায়, ছোট গরুর চাহিদা বেশি, বড় গরুর চাহিদা কম। হাটে আসা বড় বড় পশুর দাম অনেক কম বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। বাগেরহাট থেকে দুটি বড় গরু নিয়ে আসা আবুল হোসেন জানান, তিনি ২৬ জুলাই এ পশুর হাটে এসেছেন। তার দু’টি গরু এখনও হাটের সেরা গরুর মধ্যেও রয়েছে। প্রত্যেকটি গরু ২২ থেকে ২৪ মণ ওজন হবে। এক একটি গরুর দাম চেয়েছেন ১০ লাখ টাকা করে। কিন্তু ক্রেতারা একটি গরুর দাম পাঁচ লাখ এবং অন্যটির দাম ছয় লাখ টাকা বলেছে। এতে বিক্রেতা হতাশা প্রকাশ করেন বলেন, তার উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। তিনি লোকসানে পড়বেন।
পশুর হাটে আসা অনেকে বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড় গরু কেনার আগ্রহ কম। অনেক কোরবানিদাতা খুলনার পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রাম ও হাট থেকে পশু কিনে এনেছেন।
তবে মাঝারি সাইজের ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার দামের গরুর বিক্রি হচ্ছে বেশি।
এ অবস্থার মধ্যেও জোড়াগেট পশুর হাটে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিন হাজার ৮০০টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার গরু ও ছাগল ৮০০টি। এ বাবদ হাসিল আদায় হয় প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকা।
কেসিসি’র ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পশুর হাটের সমন্বায়ক মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন জানান, ইতোমধ্যে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে প্রচুর পশু এসেছে। ক্রেতার উপস্থিতি বেড়েছে। পুরোদমে বেচা-কেনা চলছে। করোনার মধ্যেও এ বছর রাজস্ব আয় বেশি হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সান নিউজ/ এআর