ঋণ খেলাপি ৮ হাজার ২৩৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে আছে ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।সিআইবি ডাটাবেইজের ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য থেকে এ চিত্র উঠে এসেছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জানান, এ সময় পর্যন্ত পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা।
১০৭ পৃষ্ঠার এই তালিকার শুরুতে স্থান পাওয়া কিছু প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-রিমেক্স ফুটওয়ার লিমিটেড, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাস্টস লিমিটেড, রুপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড, রাইজিং স্টিল লিমিটেড, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদাস প্রা.লি., এস এ ওয়েল রিফাইনারী লিডিটেড, সামান্নাজ সুপারওয়েল লিমিটেড, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেড, এ্যালোয় কোট লিমিটেড, গ্ল্যাক্সি সোয়েটার এন্ড ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড, বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, বেনেটেক্স ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড, রুবাইয়া ভেজিটেবল ওয়েল ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড, বাংলা লাইন কমিউনিকেশনস লিমিটেড, লেক্সকো লিমিটেড, আলপা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড, সুপ্লোভ রোটোর স্পিনিং লিমিটেড, বেল কনস্ট্রাকশন সান বিএইসডি লিমিটেড, চৌধুরী নীটওয়ারস লিমিটেড, জেকোয়ার্ড নীটেক্স লিমিটেড, ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সুপ্রোভ কম্পোজিট নীট লিমিটেড, হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেড, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেড, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিকস লিমিটেড, বাংলাদেশ সুপার এন্ড ফুড ইন্ড্রাস্টিজ করপোরেশন, শাহরিস কস্পোজিট টাওয়েল লিমিটেড, লিটোন ফেব্রিকস লিমিটেড, সুরোজ মিয়া জুট স্পিনিং মিলস লিমিটেড, পদ্মা পলি কটন নীট ফেব্রিকস লিমিটেড, আয়মান টেক্সটাইল এন্ড হুমিয়ারি লিমিটেড, সিমরান কম্পোজিট লিমিটেড, এস কে স্টিল, হ্যালপ লাইন রিসোর্সেস লিমিটেড, নূরানী ডায়িং এন্ড স্যুয়েটার লিমিটেড, ভারগো মিডিয়া, বিসমিল্লাহ টাওয়েল লিমিটেড, আনোয়ারা মান্নান টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, ল্ইাট হাউজ ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড,ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড, সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড, ইউনাইটেড এ্যাপারেল ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড, টি এন্ড ব্রাদার নীট কম্পোজিট লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ড্রাস্টিয়াল ফিন্যান্স কো. লিমিটেড, করোলা কর্পোরেশন বিডি লিমিটেড, রহমান স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ইসলাম ট্রেডিং কনসোটিয়াম লিমিটেড, দি ঢাকা ডায়িং এন্ড ম্যানুফাকচারিং কোম্পানী লিমিটেড, ড্রীম স্ট্রলি রি-রোলিং মিলসা লিমিটেড। মাদারিপুর স্পিনিং মিলস লিমিটেড, হাবীব স্টীলস লিমিটেড, এমএইচ গোল্ডেন জুট মিলস লিমিটেড, সেমারসিটি জেনারেল ট্রেডিং লিমিটেড, ইব্রাহিম কনসোটিয়াম লিমিটেড, লামিসা স্পিনিং লিমিটেড, সোনালী জুট মিলস লিমিটেড, চৈতি কম্পোজিট লিমিটেড, এম শিপ বিল্ডার্স এন্ড স্টিল লিমিটেড, এডভান্ড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিজ লিমিটেড, এমবিএ গার্মেন্টস এন্ড টেক্সাইট লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়াওয়েজ (বিডি) লিমিটেড, দি এরিস্ট্রোক্রেট এগ্রো লিমিটেড, উবার্টি ফ্যাশন ওয়্যারস লিমিটেড, এক্সপার টেক্স লিমিটেড, সাদ মূসা ফেব্রিকস লিমিটেড, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল লি., ওয়াল মার্ট ফ্যাশন লি., আমাদের বাড়ী লি., এগ্রো ইন্ড্রাটিজ (প্রা) লিমিটেড, সুপ্রোভ ম্যালেঞ্জ স্পিনিং লি., এটলাস গ্রীনপ্যাক লিমিটেড, হিমালয়া পেপার এন্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, এইচআরসি শিপিং লিমিটেড, পিপলস লিজিং এন্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড।
গত বছরের ২২ জুন অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করেন। ওই ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে তখন বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ছিলো ৭০ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেন মন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ত্রৈমাসিকের তথ্য অনুযায়ী ২৫টি ব্যাংকের পরিচালকেরা নতুন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তাদের গৃহীত ঋণের বকেয়া স্থিতির পরিমাণ এক হাজার ৬১৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। যা মোট ঋণের শুন্য দশমিক ১৬৬৬ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংকের পরিচালকেরা নিজ ব্যাংক ব্যতীত অন্য ৫৫টি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাদের গৃহীত ঋণের উপস্থিতির পরিমাণ এক লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। যা ব্যাংকগুলোর মোট প্রদেয় ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ।’