সৈয়দ মেহেদী হাসান, বরিশাল থেকে:
বরিশালের উৎপাদনমুখি কারখানাগুলোতে করোনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে কম পুঁজির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে গেছে। সাময়িক বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানও।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক হিমন কুমার সাহা বলেন, করোনাকালেও যে সকল কারখানা খোলা আছে, তারা তাদের শ্রমিকদের বেতন সঠিক সময়েই পরিশোধ করে আসছেন। এখনো কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যায়নি। দু-এক স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু আন্দোলন হয়েছে। তবে তা সমাধান হয়ে গেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, বরিশালে প্রতিষ্ঠিত বড় কারখানাগুলো শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন ও বোনাস দিচ্ছে। আসন্ন কোরবানির ঈদেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বরিশাল জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গত১২ এপ্রিল বরিশাল জেলায় সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। এরপর থেকে আক্রান্তের মাত্রা বাড়তে থাকে। যদিও বর্তমানে আক্রান্তের হার কমে সুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে। এরম ধ্যে বরিশালের বেশ কয়েকটি কারখানা নিয়ম মেনে চালু উৎপাদন চালু রেখেছে। তবে ক্ষুদ্র পুঁজির অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় ৫-৬টি বড় ও প্রায় ৫০০টি ছোট কলকারখানা রয়েছে। ছোট কারখানাগুলোতে চাহিদা অনুসারে শ্রমিক থাকলেও বড়গুলোতে গড়ে এক হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করেন। আর ছোট কারখানার বড় অংশ করোনাকালে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
এর মধ্যে খান সন্স গ্রুপ অব কোম্পানি এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড করোনাকালে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। যদিও ঈদ-উল-ফিতরের আগে ১২১ জন শ্রমিককে বেতন-বোনাস ছাড়াই ছাটাই করা হয়েছিল বলে শ্রমিকরা আন্দোলন করেন।
ওদিকে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড, এমইপি গ্রুপ, ফরচুন সুজ লিমিটেড, অমৃত কনজুমার ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড কারখানায় কার্যক্রম ও উৎপাদন চলমান রেখেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয়নি।
সান নিউজ/ এআর