সান নিউজ ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরি করে অঘটন ঘটনার চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সংকট যাতে না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কোথাও সারের কোনো সংকট নেই।
আরও পড়ুন: লাইভে সনদপত্র ছিঁড়ল হতাশ যুবক
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাট কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি। এ সময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সহিদুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভোদনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সার, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সঙ্গে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রি ফায়ার খেলার সময় মৃত্যু
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি, কিন্তু চাষের জমির পরিমাণ কমেছে। এ অবস্থায় সার সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন তারা দুই বস্তা সার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক রাইস সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যে এখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
সাইলোর নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাইলোতে দুই বছর পর্যন্ত চাল মজুত রাখলেও বিবর্ণ ও গুণগত মান নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।
সারের সংকট আছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না বলেও হুশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
সান নিউজ/কেএমএল