নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচকে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারে। দেশের দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের এমন উত্থান হয়।
সাত বছর আগে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন সূচক ডিএসই এক্স চালু হওয়ার পর এত বড় উত্থান আর দেখা যায়নি।
পুঁজিবাজারে টানা পতন ঠেকাতে বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যালয়ে ডেকে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই বৈঠক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাসহ ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরই পুঁজিবাজারে সূচকে বড় ধরনের উত্থান হয়।
রোববার ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ২৩২ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩৮২ পয়েন্ট।
এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সিএএসপিআই ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৭১৩ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৩১৪ পয়েন্ট।
দুই পুঁজিবাজারে লেনদেনও বেড়েছে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন ৫৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪১১ কোটি টাকা। সিএসইতে লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
গত কিছুদিন ধরে অব্যাহত দরপতনের পর পুঁজিবাজার স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয় ।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপই বাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণ।
তিনি বলেন, মানুষের আস্থা বেড়েছে। মানুষ মনে করছে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখছেন, এবার হয়ত বাজার ঠিক হবে। যে কথাগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো সত্যি সত্যি করা গেলে বাজার আসলেই ভালো হবে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর অনেক কমে গিয়েছিল। এই অবস্থায় দুটি সুখবর এসেছে। একটি হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এবং আরেকটি হচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলো শেয়ার কিনবে। ফলে আস্থাটা ফিরে এসেছে। আর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যে বিক্রি করে দিচ্ছিল, সেটাও বন্ধ হয়েছে। এজন্য সূচক বেড়েছে।
বড় ধরনের পতনের ধারাবাহিকতায় থাকা ডিএসইর সূচক বুধ ও বৃহস্পতিবার সামান্য বেড়েছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আসার পর রোববার যে বড় ধরনের উত্থান ঘটবে, সে আশা অনেকেই করেছিলেন।
এদিন লেনদেন শুরুর ১৪ মিনিটের মধ্যেই ডিএসইএক্স প্রায় ১৫০ পয়েন্ট বা শতাংশ বেড়ে যায়। এরপর সারাদিনই ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল ডিএসইএক্স। লেনদেনে বড় বড় শেয়ার আসে, সঙ্গে বাড়তে থাকে দরও। এতে সূচকে পয়েন্ট আরও বেশি যোগ হয়।
এদিন লেনদেন হওয়া ৩৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪৬টির, কমেছে ৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির দর।
ডিএসইতে তিনটি বড় কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট।
সান নিউজ/সালি