বাণিজ্য

গার্মেন্টস খাতে ধ্বসের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলমান করোনাভাইরাসের প্রভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ৩৭৪টি পোশাক কারখানা। সেই সাথে পোশাক কারখানাগুলোর ৩০ শতাংশ অর্ডার কমেছে।

পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এসব তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, এই সময়ে মাত্র তিন মাসে রপ্তানিজনিত ক্ষতি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ পরিস্থিতিতে আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পোশাকশিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা মালিকদের।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পোশাকশিল্পের আন্তর্জাতিক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। তারা ভয়ে আছে। অর্ডারও কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার ৯০০ কারখানা সচল রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা মুখে না বললেও বাংলাদেশ নিয়ে তারা ভয় পাচ্ছেন।’

এর ফলে কারখানাগুলোয় কাজ না থাকলে শ্রমিক ছাঁটাই ও লে-অফ বা কারখানা বন্ধ ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করেন শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআইয়ের এই সভাপতি।

আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, করোনার প্রভাবে বিশ্বে পোশাকের চাহিদা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে যাবে। এদিকে বিজিএমইএ জানিয়েছে, সংগঠনের ৩৪৮টি সদস্য কারখানা করোনাকালে বন্ধ হয়েছে। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে রপ্তানিতে ক্ষতি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছর মিলিয়ে ৬ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানি কম হয়েছে।

অন্যদিকে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ জানিয়েছে, করোনার প্রভাবে ২৬টি বিকেএমইএ সদস্য কারখানা বন্ধ হয়েছে। ফলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মিলিয়ে সর্বমোট ৩৭৪টি পোশাক কারখানা বন্ধের তথ্য মিলেছে।

বিকেএমইএ কর্মকর্তারা জানায়, ক্রেতারা ঈদের আগে শিপমেন্ট নেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছেন। কিন্তু ঈদের পর কাজ নেই। বর্তমানে সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ কাজ রয়েছে। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে খুব একটা কাজ নেই। তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে সংগঠনটি।’

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সূত্র বলছেন, বাংলাদেশে গত মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারগুলো সংকুচিত হয়ে আসছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি ৫ জুলাই প্রকাশিত তথ্যে বলেছে, বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছর রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য ছিল ৩৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছর তৈরি পোশাক থেকে আয় হয়েছিল ৩৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে গত অর্থবছর তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে এ খাতে আয় কমেছে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ওভেন পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

সান নিউজ/ বি.এম.

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মা হচ্ছেন সানা সৈয়দ

বিনোদন ডেস্ক: বিয়ের ৩ বছর পর মা হতে চলেছেন ‘কুণ্ডলী ভা...

রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষে নিহত ১

জেলা প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির সহিংসতার উত্তাপ রাঙ্গামাটিতে ছড়িয়...

অস্ত্রসহ আরসার কমান্ডার গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার উ...

খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত

জেলা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়েছে পাশের জেল...

আদালতে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সাবেক পরি...

মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না

নোয়াখালী প্রতিনিধি : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উ...

রিমান্ডে ডিসি মশিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর নিউমার্কে...

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, নিহত ২৮৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ২৮৫ জনের প...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটার...

অনেক সচিব নাশকতার চেষ্টা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা সরকারের দোসর অনেক সচিব এখনো বি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা