সান নিউজ ডেস্ক : ডলারের বিপরীতে আরো ৫০ পয়সা কমেছে টাকার দাম। বাংলাদেশ ব্যাংক এবার প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৯২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। ফলে গত দুই মাসে ডলারের দাম ৬ টাকার বেশি বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন : জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ ব্যাংক এই দরকে ‘আন্তব্যাংক দর’ বলছে । নতুন এ দামে সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করা হয়েছে। ফলে এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। এই দরে সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার হিসাব করে থাকে।
তবে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলারের জন্য ৯৫ টাকার বেশি দাম নিচ্ছে। আর প্রবাসী আয় আনছে ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা দরে।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারের দাম বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করছে না। ব্যাংকগুলো যে দামে লেনদেন করে, তার মধ্যে একটি দর বিবেচনায় নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ ৯২ টাকা ৫০ পয়সাকে বিবেচনায় নিয়েছে। এই দামেই ডলার বিক্রি করেছে।’
গত মঙ্গলবার (৭ জুন) সর্বশেষ ডলারের দাম ৫ পয়সা বাড়িয়ে ৯২ টাকা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন : মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল
গত ২ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যা তার আগে ছিল ৮৯ টাকা। পরে ডলারের বেঁধে দেয়া দাম থেকে সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দাম নির্ধারণ ব্যাংকগুলোর হাতেই ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন : বিশ্বে ফল উৎপাদন বৃদ্ধির হার দেশে সর্বোচ্চ
প্রসঙ্গত, আমদানি পণ্যের দাম ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। রফতানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে তা মেটানো যাচ্ছে না। এতে তৈরি হয়েছে ডলার-সংকট।
সংকট সামলাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে বেড়ে গেছে ডলারের দাম।
সান নিউজ/এইচএন