সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পণ্য রপ্তানিতে কোনো বাধা নয় বরং সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড অগ্নিকান্ডে নিহত বেড়ে ৪৯
বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম ও ভুট্টা রপ্তানিকারক ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে কয়েক মাস ধরে দেশটির রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহন করতে পারছে না ইউক্রেন। কারণ এগুলোর নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া। এবার বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে খাদ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুতিন। তার এমন ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমে এপ্রিলের পর্যায়ে চলে এসেছে।
শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের তথ্য থেকে জানা যায়, শুক্রবার গম প্রতি বুশেল (২৭.২ কেজি) দশ দশমিক চার ডলারে বেচা-কেনা হয়েছে, যা মে মাসের সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে দশ শতাংশ কম।
পশুখাদ্যের জন্য ভুট্টার দামও এই সপ্তাহে কমেছে, প্রতি বুশেল সাত দশমিক ২৭ ডলারে নেমে এসেছে।
জানা গেছে, গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। কারণ ধারণা করা হয় যে, রাশিয়ার চলমান হামলায় ইউক্রেন থেকে পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হবে। এর আগে পশ্চিমাদেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে পণ্য সরবরাহ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনে। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, কিয়েভ সেনাদের মাইনের কারণে পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, ইউক্রেনে প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য আটকে রয়েছে। রুশ আক্রমণে দেশটির বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো বের হতে পারছে না। ইউক্রেন তার বেশিরভাগ পণ্যই সমুদ্রবন্দর দিয়ে রপ্তানি করতো। তবে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে দেশটি ট্রেনে অথবা তুলনামূলক ছোট দানিউব নদীবন্দর দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশন শুরু
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে