গাইবান্ধা প্রতিনিধি: চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধয় ৭ লক্ষ ৭ হাজার ১৭৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে ১১৩ যাত্রী নিয়ে প্লেনে আগুন
এ ধান থেকে ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন ধরা হয়। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সূত্র তথ্যে জানা যায়। গাইবান্ধার সাত উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ফসলে জীবিকা নির্বাহ করে।
এর মধ্যে বোরো মৌসুমের ধান কৃষকের প্রধান ফসল। চলতি মৌসুমে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। এর মধ্যে আবহাওয়ার বিরূপ আচরণে ক্ষেতে থাকা পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।
৮০ ভাগ ধান পাকতেই শুরু করা হয়েছে ধান কাটার কাজ। যার ফলে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক-শ্রমিকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির উঠানে কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। বসে নেই সন্তান ও নববধুরাও। ধানের কাজে ব্যস্ত সবাই। শ্রমিক সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক। ফলে শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশু আলো হত্যা: ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, দুজন খালাস
বর্তমানে ধানের সঠিক মূল্য পাচ্ছে কৃষক। তবুও নানা দায় সারতে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, কৃষকদের খরচ কমানোর জন্য কম্বাইগু হারভেস্টার মেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর ধান ফসল ঘরে তুলে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হতে পারবেন।
সাননিউজ/এমআরএস