রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া ভারত হঠাৎ করেই এখন বাংলাদেশের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু কেন? জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করার পর এখন রাজ্য সরকার পেঁয়াজ কিনতে না চাওয়ায় বিপদে পড়েছে ভারত। তাই এসব পেঁয়াজ এখন বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চাইছে দেশটি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের ভোক্তা কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মহারাষ্ট্র সরকার ১০ হাজার মেট্রিক টন, আসাম ৩ হাজার মেট্রিক টন, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন, কর্ণাটক ২৫০ মেট্রিক টন ও ওড়িশ্যা প্রদেশ সরকার ১০০ মেট্রিক টনের চাহিদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এর আগে ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে। বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন নিয়েছে। বাকি পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি মূল্য পড়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ হাজার থেকে ৫৯ হাজার (৬০০ থেকে ৭০০ ডলারে) টাকা। এখন বাংলাদেশকে এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলারে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
গত সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দেশীয় চাহিদার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ রাজ্য সরকারগুলো কিনতে রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশকে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গুদামে থাকা পেঁয়াজ এখন পচতে শুরু করেছে। তাই নিরুপায় হয়ে ২২ টাকা কেজি দরে সেই পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণাও দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
গেল বছরের শেষে এসে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।