নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্টের কাঁচামালের দামবৃদ্ধি এবং জাহাজভাড়া বাড়ার কারণে সিমেন্টের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। যে কারণে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে সিমেন্টের দাম বস্তাপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে।
উৎপাদনকারীরা জানান, প্রতি বস্তা সিমেন্ট উৎপাদনে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ আবস্থায় সিমেন্ট কম্পানিগুলো টিকে থাকার স্বার্থে মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অস্থির আন্তর্জাতিক বাজার। জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন বাড়ছে বিভিন্ন শিল্পপণ্যের কাঁচামালের মূল্য। জাহাজের জ্বালানি (মেরিন ফুয়েল) টনপ্রতি ৫০ শতংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক বেশি বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
মহানগরীর খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সব কম্পানির সিমেন্টের দাম এক দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়েছে। শাহ স্পেশাল ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪০ টাকা, সুপারক্রিট ২০ টাকা বেড়ে ৪৪০ টাকা, স্ক্যান সিমেন্ট ৪৭০ টাকা, বেঙ্গল ৪৩০ টাকা, মীর ৪২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব শপিংমল বন্ধ
এ খাতের উদ্যোক্তারা জানান, সিমেন্ট উৎপাদনে প্রধান পাঁচটি কাঁচামাল ক্লিংকার, লাইমস্টোন, স্ল্যাগ, ফ্লাই অ্যাশ এবং জিপসাম ব্যবহৃত হয়। যেগুলো আমদানিনির্ভর। এর মধ্যে ৬২ থেকে ৯০ ভাগ হলো ক্লিংকার। কাঁচামাল ক্লিংকার প্রতি টন ৬০ ডলার থেকে বেড়ে ৭৫-৭৯ ডলার হয়ে গেছে। শুধু ক্লিংকারেই ১৫ ডলারের বেশি দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কাঁচামাল লাইমস্টোন, স্ল্যাগ, ফ্লাই অ্যাশ ও জিপসাম গড়ে ১০-১২ ডলার বেড়ে গেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং জাহাজসংকটের কারণে জাহাজভাড়া আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেও জানান উদ্যোক্তারা।
সাননিউজ/এমএসএ