নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, লালফিতার দৌরাত্ম্যে নিজেই অসহায়। এই দৌরাত্ম্যে আমি নিজেও কিছুটা কাবু হয়ে পড়েছি। আমি নিজেও খুব হ্যাপি না। কারণ সারাটা জীবন কাজ করে বেরিয়েছি। সরকারের এই মন্ত্রীর চেয়ারে বসে মনে হয় এটা কবে বদলাবে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, আমরা চেষ্টা করছি।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রংপুর আরডিআরএসের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার’ শীর্ষক এ সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য টিপু মুনশি। সংলাপ আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন)।
টিপু মুনশি বলেন, ‘চিনিকলগুলো এখন আর লাভজনক নয়, এটা সত্য। কিন্তু শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অনেক বেতন বকেয়া। চিনিকলের এসব জায়গায় অন্য অনেক কিছু হতে পারে। যেখানে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু এসব বলতে গিয়ে আমি হয়রান হয়ে পড়েছি। লালফিতার দৌরাত্ম্যে আমি নিজেও কাবু হয়ে পড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ইশতেহার দেয়। সেই অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হলেও সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে পারা যায়নি। তবে আমরা এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর চালু হয়েছে। সেখানে কাস্টমস পোর্ট হয়েছে। কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বদলে যাবে। তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি এটিও শুরু হয়ে যাবে। পঞ্চগড়ের উৎপাদিত চা বিশ্বমানের হয়ে উঠেছে। এই চা উৎপাদন এখন রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি আশার খবর।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরে স্কুলে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সভাপতিত্বে সংলাপে আলোচক ছিলেন রংপুর জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম, নারীনেত্রী মোশফেকা রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
সান নিউজ/এমকেএইচ