নিজস্ব প্রতিবেদক: এ যেন লাগামহীন ঘোড়া! সাধারণ মানুষের প্রতি যেন তার কোন খেয়ালই নেই। সে চলছে তার আপন গতিতে। বলতেছিলাম বাংলাদেশের ভোজ্যতেলের বাজারের কথা। গত প্রায় সোয়া ১ বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
বিশ্ব বাজারের অযুহাত দেখিয়ে নিয়মিত দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলো। এদিকে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ভোক্তাদের জীবনে।
কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনে করে, কতিপয় অতিলোভী তেল ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষা করে অযৌক্তকভাবে দাম বাড়াচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ওঠানামা করলেও বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ে শুধুই দাম বাড়ার বৃদ্ধির।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ৮৪ টাকা। সোয়া ১ বছরের ব্যবধানে সেটি এখন ১৬৮ টাকা।
গত রোববার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম দেশের সরকার বেঁধে দিয়েছে ১৬৮ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৭৯৫টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে আরও চড়া দামে।
জনৈক খুচরা বিক্রেতা জানান, সপ্তাহ যেতেই তেলের দাম বাড়ে। নতুন রেটে আরও ৮ টাকা বাড়তি। গায়ে লেখা ৮০০ টাকা, আমরা এ দামেই বিক্রি করছি।
একজন সাধারণ ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একবারে হাজার টাকা করে দিক। এতেই ভালো হয়। যেহেতু তাদের সিদ্ধান্তে আমাদের চলতে হচ্ছে।
অপরএকজন ক্রেতা জানান, আমরা সাধারণ জনগণ শুধু চিতকার করে যাচ্ছি- কোনও কাজ হচ্ছে না। সরকার এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নিতেছে না, মনে হয় ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জনস্বার্থ বিবেচেনায় না করে শুধু একটি গোষ্ঠীকে খুশি করতেই এমন কাজ করছে বলে অভিমত কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, যে কয়েকজন রিফাইনারি মিল মালিক আছেন, তাদের নিয়ন্ত্রণে পুরো ভোজ্যতেলের বাজারটা পরিচালিত হচ্ছে।
তারা যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবেই দামটা ওঠানামা করছে। তাদের ইশারায় দামটা নির্ধারিত হচ্ছে। যার কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী বলার পরেও দামটা বেড়ে গেছে।
আমরা সরকারকে যতটুকু না দাম বাড়াতে দেখি, কিন্তু সে দামে যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না, সে ব্যাপারে সরকারের কোনও তদারকি দেখছি না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে
তারা জানান, পণ্যের গায়ে আমাদনির সময়কালের মূল্য উল্লেখ করে বাজারজাত করলে কারসাজি বন্ধ হবে।
সান নিউজ/ এইচএন