বাণিজ্য
লোকসানে আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

সৈয়দপুরে শুঁটকি ব্যবসায় মন্দাভাব

আমিরুল হক, নীলফামারী: টানা শৈত্যপ্রবাহে উত্তরের সবচেয়ে বড় শুঁটকি আড়ত নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেচাকেনায় মন্দাভাব বিরাজ করছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় এখানকার ব্যবসায়ীরা। অনেকে পুঁজি হারিয়ে ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

জানা যায়, ১৯৮৩ সালে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নিয়ামতপুর এলাকায় গড়ে উঠে এ শুঁটকি মাছের আড়ত। প্রথমে কয়েকজন আড়তদার এই ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে আড়তদার রয়েছে ১৭ জন। এর মধ্যে চারজন আড়তদারের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে পুঁজির অভাবে।

স্বাভাবিক সময়ে ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতা মিলে প্রতিদিন ১৫-১৬ হাজার লোকের আগমন ঘটতো। এ সময় প্রতিদিন ৮০ লাখ থেকে কোটি টাকার শুঁটকি মাছ বেচাকেনা হতো। বর্তমানে তীব্র শীতে ক্রেতাদের ভিড় কমেছে। ফলে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ লাখ টাকার বেচাকেনা হচ্ছে। শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকার ও ক্রেতারা আড়তে না আসায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় সামুদ্রিক মাছের শুটকি বিবর্ণ ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, আড়তে শুঁটকি মাছ আসে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও পাবনা থেকে। এর পাশাপাশি ভারত থেকেও শুঁটকি মাছ আসে হিলি ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। সামুদ্রিক ও মিঠা পানির বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছও বিক্রি হয় আড়তে।

লিংকন এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক রোস্তম আলী জানান, গত বুধবার সারা দিন মাত্র ৩০ হাজার টাকার শুটকি বিক্রি হয়েছে। যা আগে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লাখ টাকার শুটকি বিক্রি হতো। শীতকালে ব্যবসা কম হয়; কিন্তু এমন ব্যবসায়িক ধস দীর্ঘ ১০ বছরেও হয়নি। তাছাড়া প্রতি কেজি শুটকিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে গেছে।

পার্বতীপুর বড়বাজার থেকে আসা শুটকি ব্যবসায়ী লিয়াকত সিকদার জানান, প্রচন্ড শীতে ক্রেতারা বাড়ির বাইরে বের হয় না। তাছাড়া শীতকালীন সবজি বাজারে প্রচুর আমদানি থাকায় শুটকি বিক্রি কম হয়। ঘন কুয়াশার কারণে রোদ না থাকায় বিশেষ করে সামুদ্রিক শুটকি বিবর্ণ ও গন্ধ হয়ে যায়। ক্রেতারা তা দেখে কিনতে চায় না। তাই সামান্য শুটকি নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।

শুটকি মাছ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি বাছেদ আলী বাখার বলেন, ব্যবসা একেবারে মন্দা। পাইকাররাও আসছেন না। তার ওপর ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যাংকের চাপ। টাকা অনাদায়ে মামলার হুমকি। এসব কারণে অনেক ব্যবসায়ী শুটকি ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। বর্তমানে এখানকার প্রায় আড়তদারই ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছেন। লোকজনের আনাগোনা কমে যাওয়ায় শুঁটকি ব্যবসা আগের মতো চলছে না।

আরও পড়ুন: আমরা এখন সাহায্যের জন্য হাত পাতি না

নীলফামারী জেলা মৎস্য দফতরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, দেশে শুটকি সংরক্ষনের জন্য সরকারের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। যা দেশের মৎস্যজাত আমিষের চাহিদা পূরণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি রফতানি আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ব...

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে শিল্পকলায় ভাস্কর্য কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভা...

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ । যথাযথ মর্যাদা ও...

শাহজাহান ওমর গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠি-১ আসনের (রাজাপুর-কাঠালিয়া) সাবেক...

চব্বিশের নায়ক খুঁজলে শিবিরকে প্রথম সারিতে পাবেন

নজরুল ইসলাম জিসান, ইবি : শিবিরের একটি প্রাসঙ্গিক সংগঠনের নাম...

রাজধানীতে আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শ্রমবিষয়ক প্রতিনিধিদ...

সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়ার আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আ...

বিভিন্ন মেয়াদে ৯৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন: পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ঢাকা বিশ্ববি...

স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুনানের পিংজিয়াং...

সব কেড়ে নিতে পারবে না এআই

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: মুহূর্তের মধ্যে মানুষের থেকেও কয়েকগুণ দ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা