আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির নামে গ্রাহকদের হয়রানিসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। রোববার (৩০ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর পক্ষে এই আবেদন করেন খন্দকার জুলফিকার আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের মুন্সিপাড়া (কর্ণেল তাহের সড়ক) এলাকার বাসিন্দা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তফা হাওলাদার উপজেলা সমবায় সমিতি থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিজের বাড়িতে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যার রেজি নং ০২২/২০১৪ । এই প্রতিষ্ঠান দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে সঞ্চয় ও ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই গ্রাহকদের ঋণসহ নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। এ খপ্পরে পড়ে অন্তত ২শ’ নিন্ম আয়ের মানুষ তাদের শেষ সঞ্চয় টুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। অথচ তিনি দিনে দিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। নিজ এবং তাঁর আত্মীয়দের নামে করেছেন অনেক সম্পত্তি।
সাম্প্রতি তিনি উত্তরা ইপিজেডের বাবুরহাট এলাকায় ১০ শতক জমির উপর নির্মাণ করেছেন পাঁচতলা বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য হবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া অনেক গ্রাহক ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে তাঁর কাছে থাকা ওই গ্রাহকের স্বাক্ষরিত সাদা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ইচ্ছেমত টাকার পরিমাণ বসিয়ে করেছেন মিথ্যা মামলা।
আরও পড়ুন:
তিনি এ সমবায় সমিতির আড়ালে করছেন রমরমা সুদের ব্যবসা। তাঁর বাড়ির কাজের লোক ও বড় বোনকে দিয়ে এ সুদের ব্যবসা পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি কমিশনভিত্তিতে ক্যাডার বাহিনী নিয়োগ দিয়েছেন। কোন গ্রাহক ওভার ডিউ বা ঋণ পরিশোধে করতে অপরাগতা প্রকাশ করলে, ক্যাডার বাহিনী ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করেন।
ভুক্তভোগী খন্দকার জুলফিকার আলী জানান, সমিতির শুরুতেই আমি এ প্রতিষ্ঠানে মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। এসময় প্রতিষ্ঠানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শর্তসাপেক্ষে ফেরতযোগ্য তিন লাখ টাকা জামানত হিসেবে নেওয়া হয়। এই টাকা মোস্তফা হাওলাদার সৈয়দপুর শাখার ঢাকা ব্যাংকের নিজের একাউন্টে জমা দিতে বলেন। পর্যায়ক্রমে আমার কয়েকটি পদোন্নতি হয়ে আমি সর্বশেষ শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করি। পরে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে তিনি চাকুরিচ্যুত করেন। কিন্তু বকেয়া বেতন-ভাতাসহ ফেরতযোগ্য জামানতের তিন লাখ টাকা দিতে গড়িমসি করছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ