নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন থেকে সব কাজ কাগজবিহীনভাবে করবে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে এর উদ্বোধন করেন স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।
এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এখন থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ব্রোকারেজ হাউজ বা অন্য কোনো স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে যত নথি আসবে তার সবই ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর হয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দপ্তরে যাবে। এরপর ক্লাউডভিত্তিক অনলাইন ব্যবস্থায় ডিএসইর এক কর্মকর্তা থেকে অন্য কর্মকর্তা বা বিভাগে হস্তান্তর ও মতামত, সিদ্ধান্ত বা অনুমোদন যুক্ত হবে।
চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অফিসে না থেকেও অনলাইনে কাজ শেষ করতে পারবেন। কোনো কর্মকর্তার অফিসে অনুপস্থিত বা বিদেশ সফরের জন্য কোনো কাজ আর আটকে থাকবে না। আপাতত ডিএসইর অভ্যন্তরীণ সব দাপ্তরিক কাজ কাগজবিহীন হলেও আগামী ১ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব স্টেকহোল্ডারকে ইলেকট্রনিক নথি প্রেরণ এবং গ্রহণ ব্যবস্থায় আনা হবে।
স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রমে গতি আনতে ডিএসইকে পুরোপুরি ‘ডিজিটালাইজড’ ও ‘অটোমেটেড’ করতে হবে জানিয়ে ইউনুসুর রহমান বলেন, দেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও পুঁজিবাজার এবং বীমায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। এ দুই জায়গায় বিনিয়োগ করলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা ঠকায় বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। এ অনাস্থা কাটিয়ে তুলতেই হবে। আমাদের ফ্রন্টিয়ার মার্কে থেকে ইমার্জিং মার্কেটে পরিণত হতে হবে।
আরও পড়ুন: ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত
ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ডিএসইতে আসার আগে শুনতাম এখানে শতভাগ অটোমেটেড সিস্টেম। কিন্তু পরে দেখলাম বাস্তবে তা অনেকাংশেই নেই। তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন পুঁজিবাজারকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য অনেক কাজ হয়েছে। যার ফলে গত এক বছরে পুঁজিবাজারের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজার নিয়ে গর্ব করার জায়গায় নেই। এখনো অনেক দূরে পড়ে রয়েছে আমাদের বাজার।
সাননিউজ/এমএসএ