নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতু থেকে অর্থ প্রত্যাহার করে লজ্জিত বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে টাকা দেয়ার অনেক দিন থেকে সুযোগ খুঁজছে। অবশেষে সুযোগ পেয়ে দক্ষ জনবল তৈরি ও ডিজিটাল চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে ২৯৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেবে সংস্থাটি।
রোববার (৯ জানুয়ারি) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদকাল ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এ ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের শর্তানুসারে চার বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৪ বছরে ঋণ পরিশোধ করা হবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং দেশীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পের প্রসার ঘটানো। প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিজিটালাইজেশন করা সম্ভব হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সান নিউজ/এনএএম