নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে লবণ মজুত রয়েছে। তাই নতুন করে লবণ আমদানি করার প্রয়োজন নেই।
সংস্থাটি জানায়, সদ্য সমাপ্ত লবণ মৌসুমে উৎপাদিত নতুন লবণ এবং গত মৌসুম শেষে উদ্বৃত্ত পুরনো লবণ মিলিয়ে দেশে লবণের মোট মজুত আছে ২০ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ আগামী ১০ মাস এই লবণ দিয়েই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
রবিবার (১৪ জুন) বিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের নভেম্বরে নতুন মৌসুমের লবণ বাজারে আসবে। ফলে বর্তমান মজুত দিয়ে শিল্প ও ভোজ্য লবণের জাতীয় চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। ফলে এ বছর লবণ আমদানির কোনও প্রয়োজন হবে না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিসিকের শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিভাগ এবং কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড লবণ উৎপাদিত হয়েছে। বিগত মৌসুমের উদ্বৃত্ত লবণ ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে মোট জাতীয় চাহিদার বিপরীতে দেশে লবণের মোট মজুত আছে ২০ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন, যা দেশের মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টন বেশি।
এছাড়া দেশের সব জেলার ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে।
বিসিক জানায়, এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলক কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিবছর নভেম্বর মাসে লবণ উৎপাদনের মৌসুম শুরু হয়ে থাকে। সেই হিসাবে নতুন লবণ মৌসুম শুরু হওয়ার আর মাত্র ৫-৬ মাস বাকি। এরপর থেকেই আবারও বাজারে নতুন লবণ আসতে শুরু করবে।
সান নিউজ/ আরএইচ