নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে দেশে সর্বনিম্ন ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিলো।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, নভেম্বরে দেশে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বা ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২৮ কোটি ৫২ লাখ বা প্রায় ২১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার অংক ছিল ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা বলেন, করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় অবৈধ চ্যানেলগুলোতে ( হুন্ডি) অর্থ লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া মহামারিতে যে হারে প্রবাসীরা চাকরি হারিয়েছে সেভাবে বিদেশে নতুন শ্রমশক্তি নিয়োগ হয়নি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারি শুরুর পর বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অবৈধ পথে আয় আসাও বন্ধ হয়। এ কারণে সব আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে শুরু করেছিল। এতে প্রবাসী আয়ে নতুন নতুন রেকর্ড হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। এখন যোগাযোগব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাতে প্রবাসী আয়ও কমতে শুরু করেছে। করোনায় প্রবাসীরা যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তা এখন বোঝা যাবে। আবার জনশক্তি রপ্তানির চিত্রও সুবিধাজনক নয়। তাই সামনে আয় আসা আরও কমে যেতে পারে বলে তাদের ধারণা।
সান নিউজ/এফএইচপি