নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ভিত্তি স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
জানা গেছে, রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর (পুরাতন) রোডে এক বিঘা জমির ওপর ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১২তলা বিশিষ্ট জয়িতা টাওয়ার। দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জয়িতা ব্র্যান্ডের আওতায় নানামুখী ব্যবসা-উদ্যোগে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধাযুক্ত জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে।
এদিকে, জাতির পিতার স্মৃতি সরংক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের নিকট জাতির পিতার অবদান তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের টাইলস ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। ম্যুরালটির উচ্চতা ১৪ ফুট ৬ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি। জাতির পিতার নবনির্মিত ম্যুরালটির মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস বিষয়ে আরও বেশি জানতে উৎসাহী ও অনুপ্রাণিত হবে।
প্রসঙ্গত, জয়িতা টাওয়ারে রয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়, প্রদর্শনী স্থান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার কক্ষ। এ ভবনে আরও থাকছে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, নারীদের জন্য জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল ও মাল্টিপারপাস হল।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জয়িতার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন পর্যায়ক্রমে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায়ও জয়িতার কার্যক্রম চালু করা হবে। জয়িতা ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য একটি নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম।
বর্তমানে ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় জয়িতা বিপণন কেন্দ্রে ১৮০টি স্টলের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় ১৮ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগে প্রতিকীমূল্যে ১ বিঘা করে জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী একটি নারীবান্ধব আলাদা বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এ বছর জয়িতা ফাউন্ডেশনের পথচলার এক দশক পূর্ণ হয়েছে।
সাননিউজ/এএএইচ