নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়াতে আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলে প্রস্তাবিত বাজেটে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার অর্থ বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবনার সময় তিনি একথা উল্লেখ করেন।
সেইসঙ্গে প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টি এবং ওই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী গত অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই পদক্ষেপের কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক মাস বাকি থাকতে রেকর্ড ১৬.৫৬ বিলিয়ন ডলার প্রবাস আয় অর্জিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে বিশেষ অবদান রাখছে।
তবে প্রধান প্রধান শ্রমবাজারে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের কারণে এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের কারণে আগামী অর্থবছর প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হতে পারে। সেজন্য আগামী অর্থবছরেও এখাতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে এক কোটি ২০ লাখের অধিক অভিবাসী কর্মী কর্মরত। গত দশ বছরে পেশাজীবী, দক্ষ, আধাদক্ষ ও স্বল্প দক্ষ ক্যাটাগরিতে মোট ৬৬ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে, যা এ পর্যন্ত মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৬০ শতাংশ। তার মধ্যে ২০১৯ সালে ৭ লাখের বেশি মানুষের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে।
এছাড়া, অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বৈধ রিক্রুটিং এজেন্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৭, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৮ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (রিক্রুটিং এজেন্ট লাইসেন্স ও আচরণ) বিধিমালা ২০১৯ প্রণয়ন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (রিক্রুটিং এজেন্ট শ্রেণি বিভাগ) বিধিমালা ২০২০ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সান নিউজ/সালি