নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি (২০২১-২২) অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনে ২৪৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে। তবে এটি গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় এ বন্দরে ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ২৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তবে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখার তথ্য অনুসারে, এ সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৪৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ফলসরূপ ঘাটতি রয়েছে ৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গেলো অর্থবছরে একই সময়ে এ বন্দরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২২৭ কোটি ২ লাখ টাকা।
ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম এ বিষয়ে বলেছেন, নানা প্রকার জটিলতার কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের মর্যাদা পাওয়ার পরও এ বন্দর ব্যবহার করে সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরও এ বন্দরে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী বেনাপোল বন্দরের মতো ভোমরা স্থলবন্দরও সবসময় পণ্য আমদানি সুযোগ হলে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ আদায় করা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি (২০২১-২২) অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এটি গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি। গত অর্থবছরে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা।
এদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের কবলে পড়ে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে বন্দরে পণ্যজট দেখা দিয়েছে। এর কারণে কাঁচামাল আমদানিকারকরা বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন। কোটি কোটি টাকার কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সান নিউজ/এনএএম