নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের থেকে এটি প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেবাখাত থেকে মোট ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি এবং তা অর্জন করতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
তিনি বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করতে হলে নানা ধরনের মেলা আয়োজন এবং তাতে অংশ নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।দেশের অর্থনীতি রক্ষা ও রপ্তানি সম্প্রসারণসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ নানা প্রকার কার্যক্রম করেছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবাখাত থেকে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেলা আয়োজন করে। তবে একটি স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় মেলাগুলো আয়োজন করা কঠিন ছিল। প্রতি বছর উন্মুক্ত স্থানে বাণিজ্যমেলা আয়োজনের ফলে অনেক অর্থের অপচয় হতো। সেটি প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন। এবং তা নিরসনে একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স সেন্টার নির্মাণ করতে, ২০১৫ সালে পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর ও পরবর্তী পর্যায়ে আরও ছয় একর জমি বরাদ্দ দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মানসম্মত দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’র নির্মাণ কাজ চীন সরকারের সহায়তায় দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এটি করোনার সময় এটি কঠিন কাজ ছিল, তারপরও সেটা সম্ভব হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, পণ্য পরিচিতি ও বহুমুখী করতে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ব্যাপক পণ্যমেলার আয়োজন করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় যোগদানে রপ্তানিকারকদের সহায়তা দেওয়া এবং বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় দেশের রপ্তানি উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে’ সারা বছর পণ্য ও সেবাখাতভিত্তিক মেলা আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে পণ্য পরিচিতি-বিষয়ক আলোচনা এবং মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি একটি বিজনেস খাতে পরিণত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পূর্বে আমরা বছরে একবার মেলার আয়োজন করতাম। বর্তমানে একটি স্থায়ী জায়গা হওয়ায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন সংগঠন এটা ব্যবহার করতে পারবে। এর ফলে বছর জুড়ে এক্সিবিশন সেন্টারের উপকারিতা পাওয়া যাবেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এনএএম