নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায় কর্তৃপক্ষ। এ খবরে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গ্রাহকরা ফেসবুকে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সম্মানিত গ্রাহক, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে দেশের অনলাইন কেনাকাটাকে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। আমরা এ কাজকে এগিয়ে নিতে চাই।
চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে। আর এ সুযোগ পেলে সকলের সব ধরনের অর্ডার ডেলিভারি দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম, আছি, থাকবো। বর্তমান পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আমাদের সকল এমপ্লয়িরা শঙ্কার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। আমাদের সম্মানিত সিইও এবং চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় আমাদের ব্যাংকিং-ও সাময়িকভাবে বন্ধ।
এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভারসহ, অফিসের খরচ চালানো এবং আমাদের এমপ্লয়িদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়গুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত সিইও’র বক্তব্য হলো- সুযোগ এবং সময় পেলে আমাদের পক্ষে চার মাসের মধ্যেই সকল জটিলতা গুছিয়ে উঠা সম্ভব। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
পুনরায় দ্রুত সার্ভার চালু করে দেওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহক ও সেলারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট। দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে আমাদের এই যাত্রায় আমরা আপনাদের পাশে পেয়েছি সবসময়। আপনাদের এ ভালোবাসায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলোতেও আমরা এভাবে আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের ভালোবাসার শক্তি আমাদের অদম্য পথচলার প্রেরণা। ইভ্যালির পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। রাসেল কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আর তার স্ত্রী গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ