নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় কৃষিঋণ বিতরণে এনজিও-নির্ভরতা কমিয়ে আনার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো দেশের সব জায়গায় শাখা-উপশাখা খুলেছে। এমন বাস্তবতায় সুযোগ তৈরি হয়েছে এনজিওর মাধ্যমে উচ্চসুদে কৃষিঋণ বিতরণের লাগাম টানার। সুদের হারও কমানোর পরামর্শ তাদের।
দেশের সর্বত্র এখন ব্যাংকগুলোর শাখা-উপশাখা। ২০১৮ সাল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রান্তিক জনপদে দেড় হাজারের বেশি উপশাখা খুলেছে বিভিন্ন ব্যাংক। বাড়ছে নতুন শাখাও। তবুও কৃষিঋণ বিতরণে অতিমাত্রায় এনজিও-নির্ভরতা কমছে না।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো। ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি কৃষক পান এই ঋণ। যাদের মধ্যে কিষানী প্রায় ১৬ লাখ। আর কৃষিঋণের বড় অংশই বিতরণ করছে এনজিওগুলো। সুদের হার কমপক্ষে ২৪ শতাংশ। ব্যাংকের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে কৃষিঋণ বিতরণে এনজিও-নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি ভেবে দেখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা সরাসরি পৌঁছে যেতে পারি কৃষকের কাছে। এখন বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা এবং এজেন্ট গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
এনজিও-নির্ভর কৃষিঋণের সুদের হার ক্রমান্বয়ে কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ বলেন, করোনার সময়ে কৃষকরাই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সার্ভিস চার্চটা আরও কিভাবে কমানো যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এদিকে, প্রান্তিক এলাকায় শাখা-উপশাখা খোলায় ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম, যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনডোর্স ৯ শতাংশ দিতে পারি, সেই ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশে কৃষকদের কাছে ঋণ দেয়ার পরিবর্তে যাতে কমানো যায় সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক চিন্তা-ভাবনা করছে।
কৃষিঋণে কৃষকের স্বার্থকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের। এক্ষেত্রে এনজিও-নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ তাদের।
সাননিউজ/ জেআই