বাণিজ্য

সাড়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকার লোকসান কৃষকের

নিউজ ডেস্কঃ

কোভিড-১৯ সৃষ্ট মহামারির প্রভাবে দেড় মাসে সারা দেশে কৃষকের লোকসান হয়েছে আনুমানিক ৫৬ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকারও বেশি। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই ক্ষতির হিসাব উঠে এসেছে ব্র্যাকের পরিচালিত গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণার আওতায় করা দুটি সমীক্ষার ফল তুলে ধরে ব্র্যাক।

এ সময় প্যানেল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা, এসিআই এগ্রি বিজনেসের নির্বাহী পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী এবং ব্র্যাকের ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ।

ব্র্যাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষি খাতে এবং সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তার ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা দুটি পরিচালিত হয়। সারা দেশের এক হাজার ৫৮১ জন কৃষক (ফসল, শাকসবজি, হাঁস-মুরগি, মাছ এবং দুগ্ধ উৎপাদনকারী) এতে অংশগ্রহণ করেন।

ব্র্যাক জানায়, এই দেড়মাসে পণ্যের ক্ষতি ও কম দামের কারণে প্রত্যেক কৃষকের লোকসান হয়েছে গড়ে প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭৬ টাকা করে। সেই হিসাবে সারা দেশে কৃষির প্রতিটি উপখাতের সব কৃষকের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে লোকসান হয়েছে ৫৬ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সমান।

ব্র্যাকের গবেষণায় আরও জানা যায়, তথ্য প্রদানকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ (৬৯ ভাগ মাছ চাষি) বেঁচে থাকার জন্য ঋণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। ১৪ শতাংশ তাদের বিকল্প আয়ের উৎসের ওপর নির্ভর করার কথা বলেছেন। ১৮ শতাংশ তাদের সঞ্চয় ভেঙে বা সম্পদ বিক্রি করে চলার কথা বলেছেন। আর ১৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের কোনও পরিকল্পনা নেই। ৫ শতাংশ বলেছেন, উৎপাদনে না ফিরতে পারলে তারা পেশাই বদলে ফেলবেন। সরকারের কাছ থেকে ৬৬ শতাংশ কৃষক সহজ শর্তে ঋণ পেতে চান। ৫৬ শতাংশ কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম এবং কম খরচে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ চান ৪৮ শতাংশ কৃষক।

সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ৬৪ শতাংশ কৃষক সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা সম্পর্কে জানেন। তবে এই সুবিধা কীভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে ৭৯ ভাগ কৃষকের কোনও ধারণা নেই বা ভুল ধারণা আছে। ব্যাংক থেকে আনুষ্ঠানিক ঋণ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাত্র ২০ ভাগ কৃষকের।

এ সময় গবেষণার নিরিখে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও পদ্ধতিগত বাধাগুলো কমিয়ে ঋণ বিতরণ ব্যবস্থাকে কৃষকবান্ধব করা, সৃজনশীল বিতরণ ব্যবস্থা প্রবর্তন (এমএফএস, এনজিওগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ)। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও চাহিদা বাড়িয়ে বাজারকে প্রাণবন্ত রাখতে নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা, ক্ষুদ্র কৃষকের কাছাকাছি সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা ইত্যাদি।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

হাতুড়ি দিয়ে রাজমিস্ত্রিকে খুন

জেলা প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জ জেলার...

ভালুকায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে...

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাণিজ্য ম...

ড. ইউনূস-মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরক...

বৃষ্টিতে জনজীবনে ছন্দপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভদ্র মাসের শেষ দিনে স্থল নিম্নচাপের প্রভাব...

নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জে...

পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার দ...

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার উ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা