নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি হচ্ছিল কেমিস্ট বা ল্যাব ছাড়াই সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সারসহ বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে। আবার তা বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হচ্ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল এসব প্রসাধনী তৈরির কারখানার সন্ধান পায় এলিট ফোর্স র্যাব। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী সামগ্রী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর-৬ নম্বরের ডি ব্লকের একটি নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাকিস্তানের নুর হোয়াইটিং ক্রিম, ইলোরা হোয়াইটিং ক্রিম, স্ক্রিন গ্লো ক্রিম, ভারতের ফেস মি বিউটি ক্রিম, ফেয়ার লুক ক্রিম, লোটাস হোয়াইটিং ক্রিম এবং ফোর কে প্লাস হোয়াইটিং ক্রিম তৈরি হচ্ছিল।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এসব প্রসাধনী মানুষ ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকে। যা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে মোম, ভ্যাজলিন, সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সার ও নকল সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরে সেগুলো ব্লেন্ডার করে মোড়কজাত বা প্যাকেটিং করে বিদেশি পণ্য বলে চকবাজারসহ বিভিন্ন জায়গাতে বাজারজাত করছিল। এই ধরনের কারখানা পরিচালনার জন্য কেমিস্ট ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিসহ অন্যান্য যেসব কিছু থাকা দরকার তার কোনো কিছুই সেখানে ছিল না।
র্যাব জানায়, কারখানার মালিক আনিছুর রহমান। তার বিরুদ্ধে আগেও রঙ ফর্সা হওয়ার ক্রিম ঐতুবৃসহ ভুয়া কোম্পানি খোলার অপরাধে কুষ্টিয়া আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিএসটিআই মামলা করবে।
সান নিউজ/এনএএম