আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতার এয়ারওয়েজের মহামারি করোনায় ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে দোহাভিত্তিক এয়ারলাইনসটি ১৫ শতাংশ বেতন কমানোসহ ১৩ হাজার ৪০০ কর্মীকে ছাঁটাই করে ব্যয় কমিয়েছে।
তবে সম্প্রতি দোহায় নির্মাণ হওয়া হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে প্রায় ২৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে কাতার এয়ারওয়েজ।
এপির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটির ২০২০-২১ (১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ) এই অর্থবছরের আয় আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কর ও অন্যান্য ব্যয়ের হিসাব ছাড়া এসময়ে সংস্থাটির আয় ১৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। জ্বালানি ব্যয় সাশ্রয়ের কারণে সংস্থাটির খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
এয়ারলাইনসটি প্রধানত তার এয়ারবাস এ৩৮০ ও এ৩৩০ ওয়াইড-বডির উড়োজাহাজগুলো বসিয়ে রাখার জন্য এত বড় লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজের এ লোকসানে উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্পে মহামারির নাটকীয় প্রভাব তুলে ধরে।
তবে মহামারিতে টিকে থাকতে সংস্থাটি কাতার সরকার থেকে ৩০০ কোটি ডলার প্রণোদনাও পেয়েছিল। এ অর্থ সংস্থাটির কার্যক্রম চালু রাখতে এবং কভিডজনিত সীমাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করেছে।
গত অর্থবছরে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি মাত্র ৫৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। সংস্থাটির যাত্রী পরিবহনের এ সংখ্যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮২ শতাংশ কম। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংস্থাটি ৩ কোটি ২৩ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছিল।
লাভজনক দূরপাল্লার রুটগুলোর ওপর নির্ভরশীল দুবাইভিত্তিক এমিরেটস ও আবুধাবিভিত্তিক ইতিহাদ এয়ারলাইনসও মহামারীর কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত এক বছরে এ সংস্থাগুলোও লাখ লাখ ডলার লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে এরই মধ্যে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে।
ইতিমধ্যে সর্বনিম্ন ৩৩টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা কাতার এয়ারওয়েজ এখন ১৪০টির বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করেছে।
সান নিউজ/এনকে