নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং এর সিওও সিরাজুল ইসলাম রানাসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গাজীপুরের টংগী পশ্চিম থানায় গ্রাহকের দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিওও সিরাজুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি হেড 'মোবাইল ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল' ইমতিয়াজ হাসান সবুজ, ক্যাটাগরি হেড 'ইলেক্ট্রনিক্স' ইব্রাহিম স্বপন।
র্যাব জানায়, গত রবিবার এগারো লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগে ধামাকার চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ এগারো জনের বিরুদ্ধে টঙ্গি পশ্চিম থানায় মামলা করেন শামীম খান নামের একজন ব্যবসায়ী। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে তিনি এগারো লাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দিয়েছিলেন। এরপর তাকে টাকা ফেরতের চেক দেয়া হলেও একাউন্টে কোন টাকা ছিলো না। পরবর্তীতে তিনি অফিসে গিয়ে সেটি বন্ধ দেখতে পান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ধামাকা শপিং ব্যাবসায়ীক কর্মকাণ্ড মূলত তারা ইনভেনটরি জিরো মডেল এবং হোল্ড মানি প্রসেস প্লান ফলো করতো। কয়েকটি দেশী বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের আলোকে তারা তাদের ব্যাবসায়ীক পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিলো। তাদের কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছিলো না।
উল্লেখ্য, চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন ও আকর্ষণীয় ছাড়ে পণ্য বিক্রির ফাঁদ তৈরি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৫৮৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) জসিমউদ্দিন চিশতি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন।
এছাড়া পরিচালনা পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য পালিয়ে বিদেশে চলে গেছেন বলে জানিয়েছে অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)।
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির অফিস বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ফোন নম্বরও। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় ধামাকার হাজারো গ্রাহক।
সান নিউজ/এফএইচপি