নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার কারণে ভাটা পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে গত দুই মাসে রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে প্রায় ১৯ কোটি টাকা। মে মাসে প্রায় ৮ কোটি ও এপ্রিলে ১১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন রাজস্ব আদায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমান অর্থবছরের মে মাসে ১৫০টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা কম আদায় হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার।
তবে করোনার কারণে বন্ধ ছিলো পশু আমদানি করা। মে মাসের শেষে পশু আমদানির জন্য খুলে দেওয়ায় হলে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২৮১টি গরু, ৮৫৩টি মহিষ আমদানি করা হয়। যা থেকে ১০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়।
গত এপ্রিলে ১৪২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়। ওই মাসে এনবিআর-এর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা কম আদায় হয়।
শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন আরও জানান, করোনায় সীমান্ত বাণিজ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সারাদেশে সাধারণ ছুটি চললেও শুধু মাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য সীমিত আকারে বন্দর চালু রাখা হয়েছে।