নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণার অভিযোগে ধামাকা শপিংয়ের চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন। ওই ব্যবসায়ী সাড়ে ১১ লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করে না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার উত্তর আউচপাড়ার বাসিন্দা মো. শামীম খান বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মামলাটি করেন। তিনি পোশাক কারখানার পার্টস ব্যবসায়ী।
মামলার আসামিরা হলেন- ধামাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএমডি জসিমউদ্দিন চিশতী, চেয়ারম্যান ডা. এম আলী, সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা ডিএমডি দেবকর দে শুভ, নাজিম উদ্দিন আসিফ, এজিএম হেড অব একাউন্টস সাফোয়ান আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন, আসিফ চিশতী, সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয়।
বাদী শামীম জানান, গত ২০ মার্চ ধামাকা শপিং ডটকমের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেওয়া হয়। অনলাইনে অফার দেখে তিনি প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। এসময় তাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। তিনি ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে ও কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু ৪৫ পেরিয়ে গেলেও পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। ৫০ দিন পর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে অপেক্ষা করতে বলে। ১ মাস অপেক্ষার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর অপারেশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুইটি চেক দেওয়া হয়। চেক দুটি নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই একাউন্টে কোনও টাকা নেই।
তিনি আরও জানান, গত ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিও (মামলার ৩নং আসামি) মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে যাওয়ার পর তিনি টাকা দেননি। উল্টো তাকে হুমকি দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবন্ধ। তিনি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। তাই টাকা পরিশোধের ইনভয়েজ, ব্যাংকের চেকের ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহ করে মামলা করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে।
সাননিউজ/এমআর