নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশে আমদানি, রপ্তানি খাতের মতো কমেছে রেমিট্যান্স। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রোজা ও ঈদের মাস গত মে'তে রেমিট্যান্স কমেছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম। করোনাভাইরাসের প্রভাব ব্যাপকভাবে শুরুর আগের মাস অর্থাৎ গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চ মাস থেকে রেমিট্যান্স কমছে। সব মিলিয়ে গত মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৬৩৬ কোটি ডলারের অর্থ দেশে পাঠান। আগের বছরের একই সময় পর্যন্ত যা এসেছিল এক হাজার ৫০৫ কোটি ডলার। এ হিসেবে মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেশি আছে ১৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা মাত্র ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মাত্র ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব ব্যাপকভাবে শুরুর প্রথম মাসে গত মার্চে রেমিট্যান্স ১৮ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে ১২৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমেছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি থাকেন এরকম অধিকাংশ দেশ এখন লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে অনেকে চাইলেও হয়তো টাকা পাঠাতে পারছেন না। আবার যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি দৈনন্দিন আয় তথা হোটেল, রেস্তোরা, উবার, পাঠাও, ছোট-খাটো দোকান নিয়ে বসতেন তারা এখন বেকার। আবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যাওয়ায় তেলনির্ভর দেশগুলোতে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এরকম অবস্থায় রেমিট্যান্স যে কমবে আগ থেকেই সে ধারণা করা হচ্ছিল।
অবশ্য অনেকের ধারণা ছিল- রেমিট্যান্স হয়তো অর্ধেকে বা তারও নিচে নেমে আসবে। তবে শেষ পর্যন্ত আর সে অবস্থায় যায়নি। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি অর্থবছর থেকে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে ভর্তুকী দিচ্ছে সরকার।
সান নিউজ/ আরএইচ