নিজস্ব প্রতিবেদক: সিপিএস এর আওতায় ২০২১-২০২৫ অর্থবছরে আগামী ৫ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। সিপিএস-এর মাধ্যমে করোনা সংকট থেকে দ্রুত আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
এই সময়ে বাংলাদেশকে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার দেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮৫ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে একই সময়ে বাংলাদেশকে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল এডিবি।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এডিবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং যথাযথ পলিসি ব্যবস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। তবে দেশের শিল্প এবং রপ্তানি ভিত্তিতে বৈচিত্র্য প্রয়োজন। কৃষি পণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো উৎপাদন এবং রপ্তানি সামগ্রীর বৈচিত্র্য, প্রতিযোগিতামূলক বৃদ্ধি এবং নতুন বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের অর্থনীতি গতি পেয়েছে। সিপিএস-করোনা সংকট থেকে উত্তোরণ, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে এবং যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সিপিএস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পানি, নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো সরাসরি মোকাবেলা করার জন্য সহায়তা করে এডিবি।
আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্যকে ২০ দশমিক ৫ থেকে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যকে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে কমিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা কোড়বে এডিবি।
নতুন এডিবি কৌশল তার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সাথে কাজ করবে। যার লক্ষ্য উচ্চ সম্পদ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা, উৎপাদন ও রপ্তানির বৈচিত্র্য এবং টেকসই নগরায়ন তৈরি।
সান নিউজ/এফএইচপি