নিজস্ব প্রতিবেদক: মোংলা সমুদ্র বন্দরে নতুন করে নির্মিত হচ্ছে আরও ছয়টি জেটি। দুটি জেটির নির্মাণকাজ এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনের মধ্যেই শেষ হবে বাকি কাজ।
এরপরেই কন্টেইনারসহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য জেটি দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেবে কর্তৃপক্ষ। সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বে বন্দরে নির্মাণাধীন সেই ৩ ও ৪ নম্বর জেটি দুটিতে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে বেসরকারি খাতের সাইফ পোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক এ তথ্য জানান।
জহিরুল হক বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) সাইফ পোর্ট জেটি দুটি নির্মাণের সব খরচ বহনের পাশাপাশি আগামী ৩০ বছর পরিচালনার সুযোগ পাবে। জেটি দুটি নির্মিত হলে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পণের চাপ সামলানোসহ আর্ন্তজাতিকভাবে এর প্রসার ঘটাতে বন্দরে নতুন করে ১ ও ২ নম্বর জেটি নামে আরও দুটি জেটি নির্মাণের বিষয়ে একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন হয়ে আছে। এ ছাড়া ১০ এবং ১১ নম্বর নামে আরও দুটি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর নির্মাণের পর ৫-৯ নম্বর নামে মোট পাঁচটি জেটি তৈরি আছে। যা বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বন্দর ব্যবহারকারী এস এম মোস্তাক মিঠু, এইচ এম দুলাল ও মশিউর রহমান বলেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত মানের মোবাইল হারবার ক্রেন সংযোজনের ফলে বন্দর অনেক গতিশীল হয়েছে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই বন্দরে নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ব্যাপক চাপ বাড়বে। এটি সামাল দিতে বন্দরে নতুন জেটি নির্মাণের বিকল্প নেই। আর কর্তৃপক্ষ সেটি নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের সুযোগ তৈরি করছে।
জেটিগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে এই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে পণ্য আমদানি-রফতানিতে খরচ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
সান নিউজ/এফএইচপি