নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক থেকে পর্যায়ক্রমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডিতে পরিণত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড একশন ব্যাটলিয়ান (র্যাব)।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাসেল ২০০৯ হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেছেন। পরবর্তীতে ২০১১ হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১৭ সালেই শিশুদের পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায়ে লাভ বেশি হওয়ায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠানটি করেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে নিজে এমডি ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে চেয়ারম্যান করা হয়।
গ্রেফতারের পর ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্টে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। অথচ ব্যাংকে তাদের দেনার পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়। ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর- ১৯।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা (ইভ্যালি) দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাকের। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।
সান নিউজ/এফএআর