জাহিদ রাকিব
সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি দাম কমেছে ১০-১৫ টাকা। সঙ্গে দাম কমেছে মৌসুমি শিমের, মান বেধে ২৫-৩০ টাকা। তবে এই সময় গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগীর কেজি গত সপ্তাহ থেকে ৫-১০ বেশিতে বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৩৫-১৪৫ টাকা। তবে পাকিস্তানি কক মুরগীর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
এ সময় কাঁচা মরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। যা এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা কেজিতে। একইভাবে দুইদিন আগেও ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, বৃষ্টি ও বন্যা কমে যাওয়ার ফলে শিম ও কাঁচা মরিচের দাম কমছে। তিনি বলেন, এখন বাজারে শিমের আমদানি বাড়ছে তাই দামও কমছে।
শিম ও মরিচের দাম কমলেও বেড়েছে শসার দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইব্রিড শসা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে। আজ শুক্রবার ৫-১০ টাকা বেড়ে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে।
এছাড়া মূলত আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজি। মালিবাগ খুচরা বাজারে এর মধ্যে কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। বেগুন ৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা,পটল, ধুন্দল, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, করলা, কাকরোল। আর উস্তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। সবচেয়ে কম দামে পেঁপে আর আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে।
মালিবাগ আল্লাহর দান ভ্যারাইটি স্টোরে, মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজিতে। দু’দিন আগেও এ ডাল বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। আর চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে।
ডালের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল ও তেল। বোতলের লিটারপ্রতি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫২-১৫৩ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়।
আর চালের মধ্যে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ভালো মানের মোটা চাল ৫২, নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৬৮, বাংলামতি ৭৩ থেকে ৭৫, পাইজাম আতপ ৬৩ থেকে ৬৫, মিনিকেট চিকন ৬৬ থেকে ৬৮, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগীর পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। হালিপ্রতি লেয়ার মুরগীর লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪০ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। আর হাঁস কিংবা দেশি মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা হালিতে। তবে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭৫ টাকায়।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজিতে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। এর মধ্যে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে। প্রকারভেদে ৯০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা বড় দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা কেজিতে।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর