নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। এ অবস্থায় ইভ্যালির প্রতি আস্থা রাখতে গ্রাহকদের আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টা ৩ মিনিটে ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
ওই বার্তায় বলা হয়, ‘সম্মানিত গ্রাহক, ডিজিটাল বাংলাদেশের সহযাত্রী হিসেবে ইভ্যালির এই পথযাত্রায় আমরা এগিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণে আমরা নিজেদের নিবেদন করেছি পুরোটাই। স্বপ্নপূরণের এই যাত্রায় বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও ইকমার্সকে সাধারণের কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করতে গিয়ে কিছুটা আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে । কিন্তু আমরা এই ঘাটতি পূরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরই লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘সময় ও সুযোগ পেলে একাগ্রতা ও সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন নীতিমালার আলোকে এই ঘাটতি পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরো কিছু মাস প্রয়োজন ছিল। ইভ্যালির উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাসেলের মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) অভিযান চালিয়ে বিকেল ৫টায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান। গ্রেপ্তারের পর তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে গুলশান থানায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক অনিন্দ তালুকদার। তিনি বলেন, আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার নম্বর- ১৯।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ইভ্যালির পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন গ্রাহক আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা। পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় (কাস্টম কেয়ার সেন্টার) যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন আরিফ।
মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির কাছে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুই বন্ধুকে নিয়ে আরিফ ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে যান। কিন্তু ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। একপর্যায়ে অফিসের ভেতর থেকে রাসেল তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন ও তাদের ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন। এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই ইভ্যালি টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে বলে অভিযোগ গ্রাহক আরিফ বাকেরের।
সাননিউজ/এমআর