নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে। এ অবস্থায় আর্থিক অনিয়ম ও ভোক্তা ঠকোনোর অভিযোগে আলোচিত নয়টি ই-কমার্স কোম্পানির হিসাব খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষক নিয়োগ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান জানান, রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠি পেয়েছেন। তার আগে ই-মেইলেও একই নির্দেশনা এসেছে।
তিনি জানান, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, কিউকুম, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডটকম ডটবিডি ও আলেশা মার্টের আর্থিক লেনদেন বিষয়ে জানতে গত অগাস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন তারা এসব প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়ে ব্যবসার হিসাব বের করার পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
ব্যবসার বিস্তারিত তথ্য জানতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গটি এসেছে। আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি বলেন জানান হাফিজুর রহমান।
দেশে ই কমার্সের ব্যবসা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিলো, এর মধ্যে মহামারী শুরু হলে নতুন নতুন বেশ কিছু কোম্পানি রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে।
বাজারমূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে এসব কোম্পানি লাখ লাখ গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এখন।
অনেকে অর্ধেক দামে পণ্য কিনে পরে বেশি দামে বিক্রির আশায় এসব কোম্পানিতে লাখ লাখ টাকার অর্ডার করেছেন। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, কোম্পানি তাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
এসব ঘটনায় ইভ্যালি, ই অরেঞ্জসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলাও হয়েছে সম্প্রতি।
সহজে গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য এসব কোম্পানি অর্ধেক দামে মোটর সাইকেল বিক্রির অফারই বেশি দিয়েছিল। টাকা পরিশোধ করার ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও গ্রাহকদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করিয়ে রেখেছে কিউকুম।
কিউকুমের গ্রাহকদেররা ফেইসবুকে নানা অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় ওই কোম্পানির অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভও করেছেন।
এ বিষয়ে কিউকুমের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরজে নিরবের সঙ্গে ১০ দিন আগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমরা যেসব বাইক বিক্রির অফার দিয়েছিলাম সেগুলোর স্টক শেষ হয়ে গেছে। সেকারণে বিলম্ব হচ্ছে।
আরেক কোম্পানি আলেশামার্টের গ্রাহক মুমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, দুই লাখ টাকায় দুটি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল কিনতে টাকা জমা দিয়েছিলেন তিনি। গত ২০ জুলাই পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও পাননি।
আর্থিক অনিয়ম ও ভোক্তা ঠকোনোর অভিযোগে আলোচিত নয়টি ই-কমার্স কোম্পানির হিসাব খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষক নিয়োগ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান জানান, গত রোববার তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠি পেয়েছেন। তার আগে ই-মেইলেও একই নির্দেশনা এসেছে।
তিনি জানান, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, কিউকুম, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডটকম ডটবিডি ও আলেশা মার্টের আর্থিক লেনদেন বিষয়ে জানতে গত অগাস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন তারা এসব প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়ে ব্যবসার হিসাব বের করার পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
ব্যবসার বিস্তারিত তথ্য জানতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গটি এসেছে। আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি, বলেন হাফিজুর রহমান।
দেশে ই কমার্সের ব্যবসা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিল, এর মধ্যে মহামারী শুরু হলে নতুন নতুন বেশ কিছু কোম্পানি রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে।
বাজারমূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে এসব কোম্পানি লাখ লাখ গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এখন।
অনেকে অর্ধেক দামে পণ্য কিনে পরে বেশি দামে বিক্রির আশায় এসব কোম্পানিতে লাখ লাখ টাকার অর্ডার করেছেন। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, কোম্পানি তাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
এসব ঘটনায় ইভ্যালি, ই অরেঞ্জসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলাও হয়েছে সম্প্রতি।
সহজে গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য এসব কোম্পানি অর্ধেক দামে মোটর সাইকেল বিক্রির অফারই বেশি দিয়েছিল। টাকা পরিশোধ করার ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও গ্রাহকদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করিয়ে রেখেছে কিউকুম।
কিউকুমের গ্রাহকদেররা ফেইসবুকে নানা অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় ওই কোম্পানির অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভও করেছেন।
এ বিষয়ে কিউকুমের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরজে নিরবের সঙ্গে ১০ দিন আগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমরা যেসব বাইক বিক্রির অফার দিয়েছিলাম সেগুলোর স্টক শেষ হয়ে গেছে। সেকারণে বিলম্ব হচ্ছে।
আরেক কোম্পানি আলেশামার্টের গ্রাহক মুমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, দুই লাখ টাকায় দুটি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল কিনতে টাকা জমা দিয়েছিলেন তিনি। গত ২০ জুলাই পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও পাননি।
তারা বার বার তারিখ পরিবর্তন করছে। আমি ধৈর্য ধরতে ধরতে এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি।
একইভাবে গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগে প্রতারণা মামলা হওয়ার পর ই-অরেঞ্জের মালিকদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকের পাশাপাশি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, পণ্য পরিবহন প্রতিষ্ঠানের, নিজস্ব কর্মীসহ বিভিন্ন মানুষের বকেয়া দিতে না পারার নতুন নতুন অভিযোগ প্রতিদিনই আসছে।
প্রায় ১১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে ই-কমার্স কোম্পানি ধামাকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
গ্রাহকের শতকোটি টাকা ধরে রাখার অভিযোগের মুখে রয়েছে আলাদিনের প্রদীপ; রিফান্ডের নামে নিজস্ব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে আসছে।
এসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা এখন আর ফোন ধরেন না। তবে মাঝে মধ্যে ফেইসবুক লাইভে এসে তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
সান নিউজ/এফএআর