নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ধামাকা’ শপিংয়ের মালিক এসএমডি জসীম উদ্দিন চিশতীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। জসীম ছাড়াও চারজন এবং তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জসীম প্রথমে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স নেন। পরে ‘ধামাকা’ শপিং নামে প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যের লোভনীয় অফার দেন। একইসঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সিগনেচার কার্ড বিক্রির প্রলোভন দেখান গ্রাহকদের। এভাবে ৮০৩ কোটি টাকা আদায় করেন গ্রাহকদের থেকে। এখান থেকে ১১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আসামিরা তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরান। তদন্তে নেমে আসামিদের মানি লন্ডারি আইনে অপরাধের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
আসামিরা হলেন- সাইদা রোকসানা খানম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডির জসীম উদ্দিনের স্ত্রী), জসীম উদ্দিনের তিন ছেলে তাশফির রেদোয়ান চিশতী (প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান), নাজিমউদ্দীন আসিফ (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), মাশফিক রেদোয়ান চিশতী (পরিচালক) এবং সাফওয়ান আহমেদ (পরিচালক)।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, সিআইডি প্রথমে ‘ধামাকা’র বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য পাওয়ার পর মামলা করা হয়। তদন্তের পর্যায়ে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, ধামাকা গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক গ্রাহকের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। ধামাকা এই সমেয়র মধ্যে অস্বাভাবিক কম মূল্যে রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, মুঠোফোন, টেলিভিশনসহ নানান পণ্য সরবরাহের প্রলোভন দেখায়। তারা তিনটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে ৮০৩ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৬৩ টাকা নিয়েছে।
সিআইডি কর্মকর্তারা আরও জানান, প্রথম দিকে কিছুসংখ্যক গ্রাহককে সামান্য কিছু পণ্য সরবরাহ করে ‘ধামাকা’। এগুলো প্রচার করে গ্রাহককে আকৃষ্ট করা হয়। পরে তাদের পণ্য সরবরাহ না করে প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণা করে। অন্যদিকে ৬০০ সরবরাহকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেনার নামে ২০০ কোটি টাকার পণ্য গ্রহণ করে মূল্য পরিশোধ না করেও প্রতারণা করে ধামাকা।
সাননিউজ/এমআর