সান নিউজ ডেস্ক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সদস্যরা কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করেছেন বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল এবং এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা করেছে বিএসএফ।
এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অফিস করেছেন সোহেল রানা। এরপর থেকে আর থানায় আসেননি, রিপোর্টও দেননি, ছুটিও নেননি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে খবর পাচ্ছি তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। তবে আমরা এখনো তা নিশ্চিত হতে পারিনি।
জানা গেছে, সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্বরত। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত রাসেলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক মাসে সোহেল রানা ই-অরেঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তার অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। অরেঞ্জ বাংলাদেশের বিনিয়োগ রয়েছে বেশ কিছু ব্যবসায়িক খাতে।
গোয়েন্দা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শেখ সোহেল রানা আর তার বোন মেহজাবিন মিলে গ্রাহকদের টাকা অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনেছেন, বিদেশের কিছু টাকা গিয়েছে বলেও আমরা তথ্য পেয়েছি। এর সবকিছুই নিশ্চয়ই গুলশান থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।’
সান নিউজ/এমকেএইচ