নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স ব্যবসায় প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের চেয়ারম্যান সোনিয়া মেহজাবিন ও এমডি মাসুকুর রহমানসহ ৩ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন-ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এর প্রেক্ষিতে আজ (সোমবার) আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাতে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। এ সময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।
মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়। পরে গত ১৯ আগস্ট তিনজনকেই রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল পুলিশ।
সান নিউজ/এমকেএইচ